নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
কুমিল্লা নগরীতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল কর্মীদের বিক্ষোভ চলাকালীন সময় একজন সাংবাদিক শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা কিল-ঘুষির পাশাপাশি ওই সাংবাদিকের পায়ে ছুরিকাঘাতও করে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে, নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে।
আহত সাংবাদিক বাহার রায়হান সময় টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার ডান হাঁটুর ওপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়, যার ফলে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, আহত স্থানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হলেও তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত বছর পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের দুটি আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলে কাজী জোবোয়ের আলম জিলানীকে সভাপতি ও এমদাদুল হক ধীমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। মহানগর কমিটিতে সভাপতি হন নাহিদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু।
এই কমিটির ঘোষণা জানাজানির পরই পদবঞ্চিতদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা ‘অবৈধ কমিটি মানি না, মানবো না’ স্লোগান দিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং পরবর্তীতে পূবালী চত্বর অবরোধ করে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে নগরবাসীর ভোগান্তি তৈরি হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গেলে বাহার রায়হান হামলার শিকার হন।
সাংবাদিক বাহার জানান, বিক্ষোভের সময় ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় হঠাৎ করে তাকে মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয় এবং একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, “দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একটি গঠনমূলক কমিটি হয়েছে। কিন্তু পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। দলীয়ভাবে আমরা হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ করছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদি তারা দলের কেউ হয়।”
এদিকে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, এখনো হামলাকারীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।