গোপালগঞ্জ সহিংসতায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের,বিভিন্ন মামলায় ১৮ জন শিশুকে গ্রেপ্তার-আসক

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশ কেন্দ্রিক সহিংসতায় শিশু গ্রেপ্তারসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশি সংগঠন আসক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের হামলার ঘটনা নাগরিকের সাংবিধানিক সভা-সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

আসক জানায়, চলতি জুলাই মাসের ২১ ও ২২ তারিখে তাদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গোপালগঞ্জে যায়।

তারা নিহত, আহত, আটক ও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাসপাতাল ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাবেশের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এনসিপির শীর্ষ নেতারা অল্পসংখ্যক সমর্থকদের সঙ্গে বক্তব্য প্রদান করতে আসেন।

বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়। এর ফলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।

এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ‘সাধারণ জনতা’ রাস্তায় নেমে আসে এবং টানা তিন ঘণ্টা ধরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

আসকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সমাবেশের আগের দিন স্থানীয় প্রশাসন আশপাশের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

সমাবেশের দিন সকাল থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থকেরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলা হয়েছে, তাদের হাতে ছিল লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র।

আসক আরও জানায়, ২১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় মোট ১৮ জন শিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার তানিয়া জামান এবং এআইজি (প্রিজন) দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এসব শিশুদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

আসক অভিযোগ করেছে, তারা গোপালগঞ্জ সদর থানায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

তারা আরও জানায়, গোপালগঞ্জে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার সাকিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *