ডেঙ্গু হলে কী করবেন? ঘরোয়া কিছু উপকারি টিপস আর কখন ডাক্তার দেখাবেন – জেনে নিন সহজ ভাষায়

বৃষ্টির সময় এলেই চারদিকে মশা বাড়ে, আর তখনই বেশি দেখা যায় ডেঙ্গু রোগ। অনেকে প্রথমে বুঝতেই পারেন না যে এটা ডেঙ্গু কিনা। তাই আজকে আমি বলবো কীভাবে ডেঙ্গু চেনা যায়, ঘরোয়া কিছু উপকারি উপায়, আর কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন — সব কিছু খুব সহজ ভাষায় চলুন জেনে নেই।

নিউ ঢাকা টাইমস ডেক্স রিপোর্ট

‎✅ ডেঙ্গুর লক্ষণ কী কী?

‎১. হঠাৎ করে জ্বর, খুব বেশি (১০২–১০৪ ডিগ্রি)
‎২. মাথা, চোখ আর গাঁটে ব্যথা
‎৩. বমি ভাব বা বমি
‎৪. শরীরে লালচে দানা (র‍্যাশ)
‎৫. মুখ শুকিয়ে যাওয়া
‎৬. পেটে ব্যথা, বমি বা পাতলা পায়খানা হতে পারে
‎৭. অনেক ক্ষেত্রে দাঁত বা নাক থেকে রক্তও পড়তে পারে

‎✅ ডেঙ্গু হলে কী করবেন – ঘরোয়া কিছু উপকারি টিপস:

‎👉 ১. পানির ঘাটতি যেন না হয় (জল বেশি খান):
‎প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি খান। সাথে ডাবের পানি, ওআরএস বা স্যালাইন খেতে পারেন।

‎👉 ২. পেঁপে পাতার রস:
‎অনেকেই বলে এটা প্লেটলেট বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে ও বিকেলে আধা কাপ করে খেতে পারেন (ডাক্তারের পরামর্শসহ)।

‎👉 ৩. লেবুর শরবত:
‎ভিটামিন ‘সি’ দেহে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দিনে ২ বার খাওয়া ভালো।

‎👉 ৪. তাজা ফলমূল:
‎আপেল, কমলা, কলা, ডালিম — এগুলো রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।

‎👉 ৫. বিশ্রাম নিন:
‎অতিরিক্ত চলাফেরা নয়। একটানা বিশ্রাম নিতে হবে যেন শরীরের শক্তি ঠিক থাকে।

‎👉 ৬. হালকা খাবার খান:
‎জাউ, সাদা ভাত, ডাল, সেদ্ধ সবজি খাওয়াই ভালো। মসলা ও তেল এড়িয়ে চলুন।

‎❌ যা করবেন না:

‎প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো জ্বরের ওষুধ খাবেন না (বিশেষ করে আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন)

‎নিজের মন মতো ওষুধ খাবেন না

‎ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া কিছুই নেবেন না যদি জ্বর বেশি হয়


‎🏥 কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

‎🔴 জ্বরের সাথে নিচের যেকোনোটি দেখা দিলে একদম দেরি না করে হাসপাতাল বা ডাক্তার দেখান:

‎1. দাঁত, নাক, প্রস্রাব বা মল থেকে রক্ত পড়া
‎2. বমি হতে না থামা
‎3. চোখ ঝাপসা দেখা
‎4. পেট ফুলে যাওয়া বা ব্যথা
‎5. অতিরিক্ত দুর্বল লাগা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
‎6. রক্তচাপ কমে যাওয়া বা ঘন ঘন শ্বাস নেয়া

‎এই লক্ষণগুলো হলে সেটা ডেঙ্গুর ‘ডেঞ্জার সাইন’, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যেতে হবে।

‎🔚 শেষ কথা:

‎ডেঙ্গু এখন একটা পরিচিত রোগ হয়ে গেছে, কিন্তু অবহেলা করলে বড় বিপদ হতে পারে। তাই শুরু থেকেই পানি খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া, সঠিক খাবার খাওয়া, আর নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই সুস্থ থাকা যায়। আর দেরি না করে সঠিক সময়ে ডাক্তার দেখালে জীবনও বাঁচে।

‎সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *