দাউদকান্দিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজে স্নাতক (পাস) অধিভুক্তি উদ্বোধন ও ট্যালেন্ট শো অনুষ্ঠিত

মাসুম বিন ইদ্রিস, কুমিল্লা উত্তর:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজে স্নাতক (পাস) শ্রেণির অধিভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয় একটি রঙিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ট্যালেন্ট শো। গত সোমবার (২ জুন) কলেজ প্রাঙ্গণে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ বলেন, “শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আন্তরিকতা সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি নিজেও শিক্ষক ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি (এমএসসি, পিএইচডি) অর্জনের পর দেশে ফিরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। শিক্ষকতা ও রাজনীতির ভারসাম্য রাখা কঠিন ছিল বলে দলের অনুরোধ এবং দাউদকান্দির জনগণের আগ্রহে ১৯৯১ সালে আমি শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিই।”

তিনি আরো বলেন, “১৯৯১-৯৬ সালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকাকালে দাউদকান্দির দুটি সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণ করি। তখন শিক্ষক সংকট প্রকট ছিল, অনেক শিক্ষার্থী ব্যর্থ হতো। চেষ্টা করেও শিক্ষকসংখ্যা বাড়ানো কঠিন ছিল। তখন থেকেই ভাবনায় ছিল নিজে কলেজ প্রতিষ্ঠা করব। সেই উদ্দেশ্যেই পরবর্তীতে আমি ২টি বেসরকারি কলেজ, ২টি মাদ্রাসা ও ৩টি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করি (২০০১-২০০৬)। কলেজটির ভালো ফলাফলের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এটি ডিগ্রি কলেজ হিসেবে অনুমোদন দেয়। এখন আমরা অনার্স ও মাস্টার্স চালুর অনুমোদনও পেয়েছি।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাশেম, সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম এবং দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *