
নিউ ঢাকা টাইমস ডেক্স রিপোর্ট |
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত জোরালোভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, কিছু প্রভাবশালী মহল বাংলাদেশকেও পরোক্ষভাবে ওই প্রেক্ষাপটে যুক্ত করছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, পাকিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে আইএসআই-এর কার্যক্রম বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান অঞ্চলের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনেও বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারত বাংলাদেশ সংলগ্ন পাঁচটি রাজ্যে ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্তে বিএসএফ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেছে। সীমান্তে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাফাল যুদ্ধবিমান, ড্রোন, নাইটভিশন ক্যামেরা ও সিসিটিভি যুক্ত করে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল ফ্রান্সের সঙ্গে ২৬টি অতিরিক্ত রাফাল কেনার নতুন চুক্তির পর হাসিমারা ও বাগডোগরার বিমানঘাঁটি থেকে রাফালের নিয়মিত টহল চলছে।
বিশেষ নজরে রয়েছে ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর—যা ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও এই করিডোর বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে সিকিম, ত্রিপুরা, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম ও অরুণাচলকে। ফলে ভারত ওই অঞ্চলজুড়ে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর গতিবিধি জোরদার করেছে।
তথ্যসূত্র: বার্তা বাজার