নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের অর্থে চলে—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কুমিল্লার বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৯ মে) কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ১৬ মে কুমিল্লার এক অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের অর্থায়নে চলে’। তার এমন বক্তব্য অতি শিশুসুলভ। তিনি রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ব বলেই এমন মন্তব্য করেছেন। আমরা মনে করি, তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “হাসনাত আবদুল্লাহ বর্তমানে এনসিপি তথা কিংস পার্টির একজন মুখপাত্র। এ ধরনের নেতৃত্ব দিয়ে শালীন রাজনীতি গড়ে ওঠে না। রাজনীতিতে সহনশীলতা ও অন্য দলের প্রতি সম্মানবোধ থাকা জরুরি। তার এই মন্তব্যে কুমিল্লার বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। যদি তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তবে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেলিম ভূঁইয়া জানান, “অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহকে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তাকে কুমিল্লায় কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। তবে এখনই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়নি, সময় রয়েছে—ক্ষমা না চাইলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এ ধরনের অপেশাদার নেতাদের রাজনীতিতে যুক্ত করে পুরো রাজনৈতিক পরিবেশকে বিতর্কিত করছে। সরকারের উচিত তাদের সরিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করা। নির্বাচন বিলম্ব হলে জনগণের আস্থা আরও কমে যাবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন এবং মোস্তাক মিয়াসহ জেলা ও মহানগরের অনেক নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, ১৬ মে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে এক জুলাই সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ আগে যেভাবে জীবনযাপন করতো, এখনও তেমনি করছে—এটা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও আমরা তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে পেরেছি, কিন্তু তাদের অর্থায়ন এখনও চলছে। এমনকি কুমিল্লার যে উপজেলায় আমি আছি, সেখানে বিএনপির রাজনীতিও আওয়ামী লীগের টাকায় চলছে।”