
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-তে এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং (ইওজিএম) উপলক্ষে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীরা যোগ দিতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রকৌশলীদের দ্বারা হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রকৌশলীদের মতে, আওয়ামীপন্থি প্রকৌশলী ও আইইবির সাবেক সেক্রেটারি মিয়া মো. কাইয়ুম, মহিবুর রহমান সবুজ এবং তারিকুজ্জামান তালুকদার শাহীনের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি এই হামলায় অংশ নেয়। এতে পুলিশ সদস্য ছাড়াও আইইবির বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুন, শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর, এসআই যাক্কার, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান, মো. আরাফাত রহমান রাকু, নাহিদুল ইসলাম, মুক্তাদির বিল্লাহ, সালমান খান, এমএম জিহান এবং বাদল আহমেদ।
বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল জানান, ‘বিকেল ৩টায় আমাদের ইওজিএম নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের সভা বানচাল করতে হামলা চালায়। তারা ইট-পাটকেল এবং গরম পানি নিক্ষেপ করে, যার ফলে ৮-১০ জন আহত হন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিন ধরে আইইবিকে কব্জা করে রেখেছে। এখন যখন আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছি, তখনই তারা হামলা করেছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, ‘হঠাৎ হামলায় আমরা অনেকেই আহত হয়েছি। আমার বুকে একাধিক ইটের আঘাত লেগেছে। তবে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখে।’
রমনা জোনের ডিএমপি উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘হামলাকারীরা গরম পানি ছুঁড়ে মারে এবং এতে পুলিশের ৭-৮ জন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।’