
ডেস্ক রিপোর্ট, নিউ ঢাকা টাইমস
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুলির নির্দেশ কে বা কারা দিয়েছিল, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রতিটি মামলার তদন্ত চলছে, এবং তদন্ত শেষ হলে স্পষ্ট করে বলা যাবে কারা গুলির নির্দেশ দিয়েছিল এবং কারা গুলি চালিয়েছিল।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি আরও বলেন, আন্দোলনের সময়ের প্রায় ১৫০০ মামলার মধ্যে প্রায় ৬০০টি হত্যা মামলা রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়ায় নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, ভুল করে দায়ের করা মামলায় নিরীহ আসামিদের হয়রানি করা হবে না এবং নির্দোষদের সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, তদন্ত চলাকালীন বাদীদের কোনো বক্তব্য তদন্তের ওপর প্রভাব ফেলবে না এবং তদন্ত শেষে সত্যিকারের অপরাধীরাই বিচারের মুখোমুখি হবেন। তিনি আরও জানান, নির্দোষরা যেন প্রতারিত হয়ে টাকা না দেন, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইতে বলেছেন তিনি।
৫ আগস্টের ঘটনার সাথে যুক্ত পলাতক পুলিশ সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান আইজিপি।
বর্তমান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পুলিশকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকারের সময় পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে কি না — এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে দেশের কল্যাণই প্রত্যাশিত। তিনি জানান, সাহসিকতার জন্য যেসব পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত হয়েছেন, তাদের তালিকা নিরীক্ষণ করে দেখা হবে।