
নিউ ঢাকা টাইমস | ডেস্ক নিউজ
জ্ঞানী ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান নয়, বরং রাজনৈতিক অস্পষ্টতা ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করার মাধ্যমে সংলাপের পথ খোঁজা উচিত।
তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আওয়ামী লীগ দলটি মাঝে মাঝে কর্তৃত্ববাদী আচরণ করে থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে সবাইকে এক কাতারে ফেলা উচিত নয়। তাদের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে, তবে সমাধান খুঁজে পাওয়া দরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়।”
বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর তৈরির প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন ফরহাদ মজহার। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। এটি স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সেনাবাহিনীকে তাদের স্বার্থে একটি নতুন প্রক্সি যুদ্ধে টেনে নিতে চায়। আমি চাই না আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠুক।”
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আদৌ স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচনের চাপ এবং বিরোধীদের চাপের মধ্যে সরকার কতটা টিকে থাকতে পারবে, সে বিষয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন কমিশন গঠনের পদ্ধতি নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি। ফরহাদ মজহার বলেন, “যদি সত্যিই তারা নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়, তাহলে ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত না নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জনগণকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে নীতিনির্ধারণ করা হচ্ছে।”
তিনি স্পষ্ট ভাষায় প্রশ্ন তোলেন, “জনগণকে পাশে না রেখে কোনো বড় পরিবর্তন সম্ভব? আমরা কি কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তন চাচ্ছি, নাকি আসলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই?”
তার বক্তব্যে উঠে এসেছে—সুসংবদ্ধ রাজনৈতিক সংলাপ, জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া প্রকৃত অর্থে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা অসম্ভব।