
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আত্মগোপন থেকে ফিরে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু। শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় চার মাস আগে ঘটে যাওয়া ওই হামলার পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন।
অলিউজ্জামান পেশায় একজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের বানেশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি রাজশাহী–৫ (পুঠিয়া–দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের চাচা।
তার ভাতিজা আবু হানিফ সুজা জানান, বিকেল ৪টার দিকে ঢাকায় তার চাচার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় এবং এলাকায় মাইকিং করা হয়। তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি সকালে চা পান করতে মাইপাড়া বাজারে গেলে সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে বিড়ালদহ বাজার সংলগ্ন নন্দনপুর সড়কে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এরপর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আবু হানিফ আরও জানান, প্রথমে অলিউজ্জামানকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নির্যাতনের বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি জানান, সুযোগ হলে আদালতে মামলা করবেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর ২ জানুয়ারি রাতে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরেছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে।
নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি-ঘনিষ্ঠ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত হামলায় জড়িত ছিলেন। তবে মিঠুন এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আহসান ও সীমান্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন জানান, ঘটনাটি তারা মৌখিকভাবে শুনে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এবং আহতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে তদন্তের সুযোগ হয়নি। শুক্রবার মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এখনও বিষয়টি জানেন না এবং এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করতেও আসেনি।