
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করেছি। আমাদের সব পাইলট নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের দায়িত্ব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা, মৃতদেহ গোনা নয়।”
শনিবার, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে আয়োজিত বিশেষ এক ব্রিফিংয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি। অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে তিনি জানান, যেভাবেই অভিযান পরিচালিত হোক না কেন, তা শত্রুপক্ষের ওপর যথাযথ প্রভাব ফেলেছে।
তার কথায়, “কতজন মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন, সেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল না। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, সেটি গোনার দায়িত্ব তাদের। আমাদের দায়িত্ব ছিল নির্ধারিত টার্গেটে হামলা চালানো।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তে পাকিস্তানের বিমানগুলিকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং কিছু বিমান নামানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ওদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা আমরা করেছি।”
তিনি বারবার উল্লেখ করেন, “আমরা আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করেছি এবং আমাদের পাইলটরা সকলেই নিরাপদে দেশে ফিরেছেন।”
৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে শুরু হয় ভারতের ‘মিডনাইট এয়ার স্ট্রাইক’, যা প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলে। এতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। লক্ষ্যবস্তুতে ছিল লস্কর, জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি। এই অভিযানে পুলওয়ামা হামলা এবং কান্দাহারের বিমান ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাগুলোর মূল পরিকল্পনাকারীদের অনেকেই নির্মূল হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের লক্ষ্য আমরা অর্জন করেছি এবং তার ফলাফল গোটা বিশ্ব দেখবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলোর সব সিস্টেমে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারত রাখে।”
এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনা যেসব পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে, সেগুলো হলো: পাসরুর, চুনিয়া, আরিফওয়ালা এয়ার ডিফেন্স র্যাডার, সরগোধা, রহিম ইয়ার খান, চাকালা (নুর খান), সুক্কুর, ভোলারি এবং জেকোবাবাদ এয়ারফিল্ড। এসব তথ্য শনিবারের বিশেষ ব্রিফিংয়ে প্রকাশ করেন এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী।
তথ্যসূত্র :abp