
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
আফ্রিকার দেশ চাদ ঘোষণা করেছে, তারা আমেরিকার নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করছে। ৫ জুন, বৃহস্পতিবার দেশটির তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় বলে উল্লেখ করেছে এএফপি। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই চাদসহ ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
চাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “চাদের নেই কোনো উড়োজাহাজ, নেই শতকোটি ডলারের ক্ষমতা, কিন্তু চাদের আছে আত্মমর্যাদা ও গর্ব।”
এর আগে বুধবার, স্থানীয় সময় অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানায় হোয়াইট হাউস।
এই নতুন বিধিনিষেধের আওতায় আসা দেশগুলো হচ্ছে — আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এছাড়া ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এসব দেশ হলো — বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। তবে এদের মধ্যে কিছু দেশের নাগরিকরা অস্থায়ী কর্মসংস্থানমূলক ভিসা পেতে পারেন।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করছেন অনেকে। তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, কলোরাডোর একটি ইহুদি র্যালিতে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনাই তাকে এই নিষেধাজ্ঞার পথে যেতে বাধ্য করেছে। ভিডিওটি ওভাল অফিস থেকে ‘এক্স’-এ পোস্ট করা হয়।
ট্রাম্প আরও বলেন, “বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ আমাদের দেশের জন্য বিপজ্জনক, তা আবারও প্রমাণ হলো কলোরাডোর সন্ত্রাসী হামলায়।” রবিবার দুপুরে, কলোরাডোর বোল্ডারে সংঘটিত ওই হামলায় অভিযুক্ত মিসরের এক নাগরিককে ঘটনাস্থলেই আটক করে পুলিশ। তবে মিসরের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই, যদিও ট্রাম্প ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।