
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশের ১২ দলীয় জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, আসন্ন নির্বাচনের সময় হিসেবে এপ্রিলের কথা বলা যেন দেশের জনগণকে ‘এপ্রিল ফুল’ বানানোর শামিল। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাই দেশের গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দল।
শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা সুদীর্ঘদিনের। ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াকে ‘এপ্রিল ফুল’-এর মতো করে ঠাট্টা করার সুযোগ নেই।
১২ দলীয় জোটের ভাষ্য, এপ্রিল মাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় থাকে, সঙ্গে অনুকূল আবহাওয়ার অভাব এবং বৈরী পরিবেশ—যা নির্বাচন পরিচালনার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।
জোটের নেতারা আরও জানান, রমজান শেষে এপ্রিল মাসেই নির্বাচন মানে রোজার ধকলের পরপরই ভোটগ্রহণ—যা বাস্তবসম্মত নয়। আবহাওয়াও থাকবে বিপর্যস্ত—একদিকে চৈত্রের খরা, অন্যদিকে কালবৈশাখী ঝড়। তাছাড়া প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর বাদ দিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে?
তাদের অভিযোগ, নোবেল বিজয়ী ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, যা জাতির জন্য উদ্বেগের বিষয়। তাঁর এমন বক্তব্য সরকারপ্রধানের মর্যাদার পরিপন্থী। দেশের জনগণের হাতে থাকবে দেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার, বলেন তারা।
নেতারা বলেন, ঈদের পর ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আদৌ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে দেশের মানুষ।
তারা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব এবং দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীও সেই প্রস্তুতি সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছে। জোটের দাবি, জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাওয়া পূরণ করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন:
১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, এবং পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।