এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের বার্তা!

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আবারো উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহ। সম্প্রতি ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে এই ঘোষণার মধ্যেই নির্বাচনের অনিশ্চয়তার একটা বার্তা রয়েছে। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের ৪৫ শতাংশের বেশি নাগরিক আওয়ামী লীগের পক্ষে। এত বড় একটা জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা যায় না।”

এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন— বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে। তিনি দেশের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, “আমি আজকে বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে জানাচ্ছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুর দিকেই অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।

তবে ড. ইউনূসের এই ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলের নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, “নির্বাচন জানুয়ারিতেই সম্ভব ছিল। এখন যেহেতু নির্বাচন পিছিয়েছে, এতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।”

ওবায়দুল কাদের আরও জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। আজ আমাদের আদর্শ, অস্তিত্ব ও রাজনৈতিক ভিত্তি হুমকির মুখে। তাই আওয়ামী লীগকে গুছিয়ে তোলা হচ্ছে। আমরা একটি গণভিত্তিক দল— আমাদের প্রধান শক্তি জনগণ।”

এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক ঘোষণার সঙ্গে ড. ইউনূস ঘোষিত নির্বাচনী সময়সূচির মিল থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস মূলত মৌলবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করছেন। এদের থেকেই তিনি তার ক্ষমতার ভিত্তি খুঁজছেন।”

শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি প্রতিনিয়ত দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ বিকেলেও আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি সুস্থ আছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “শেখ হাসিনা পূর্বেও বলেছিলেন— দেশের স্বার্থে তিনি অবশ্যই ফিরবেন এবং যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন, তারা শাস্তি পাবে। তবে কবে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সবকিছু নির্ভর করছে দেশের রাজনীতির অবস্থা, জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপর।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *