এ বছর বাংলাদেশে কাঁচা চামড়ার মূল্য বেশি বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বাংলাদেশে কাঁচা চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। রাজধানীতে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার দাম তুলনামূলক বেশি। আধাপচা চামড়ার মূল্য কম হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমে চামড়ার দামের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “লবণ ছাড়া চামড়া নেওয়ার পরিমাণ কম ছিল, তবে লবণযুক্ত চামড়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত দরেই তা কেনা হয়েছে।”

বাংলাদেশ সরকার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে। তবে অনেক মৌসুমি বিক্রেতা অভিযোগ করেন, আড়তদাররা এই নির্ধারিত দর মানছেন না। ঈদের দিন শনিবার রাজধানীর লালবাগের পোস্তা এলাকায় গরুর চামড়া আকার অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আর খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ টাকায় প্রতিটি। ব্যবসায়ীরা জানান, আগের বছরের তুলনায় এই দামে তারা হতাশ এবং এর জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটকে দায়ী করছেন।

রাজধানীর বাইরের এলাকার পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একই রকম। অনেক জেলায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে, যার পরিমাণ নির্ভর করেছে আকারের ওপর।

ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার, রাজধানীর পোস্তা এলাকাতে চামড়ার কেনাবেচা কমে গেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকেই কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। কেউ কেউ আবার আড়তদারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ৬০০ টাকায় কেনা চামড়া আড়তদাররা ৬০০ বা ৭০০ টাকার বেশি বলছেন না।

ওই দিন পোস্তায় ছোট ও মাঝারি চামড়া বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, আর বড় চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকায়। অন্যদিকে ছাগলের চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ ছিল না।

যদিও সরকারিভাবে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গা ও হিলি অঞ্চলের মৌসুমি বিক্রেতারা দাবি করেছেন—তারা নির্ধারিত দাম অনুযায়ী চামড়ার মূল্য পাচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *