কক্সবাজারে সৈকতে ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার হলো পাঁচটি মরদেহ, রয়েছে বাবা-ছেলে পর্যটকও

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসল এবং মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী থেকে আগত এক বাবা ও ছেলে, যারা একসঙ্গে গোসল করতে গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস। তিনি জানান, সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে গোসল করতে নেমে শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০) ঢেউয়ের ঝাপটায় ভেসে যেতে থাকেন। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও অতিরিক্ত রক্ত বমির কারণে তারা প্রাণ হারান। মরদেহ দুটি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন পর্যটক রাজীব আহম্মদ (৩৫)। তিনি চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা এবং নজির আহম্মদের ছেলে। ঈদ উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে লাবণী পয়েন্টের দক্ষিণ পাশে গোসলে নামেন তারা। স্রোতের টানে দুজন ভেসে যেতে থাকলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট সংলগ্ন সৈকতের উত্তর অংশে এক মরদেহ ভেসে আসে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে লাইফগার্ড টিম মরদেহটি উদ্ধার করে এবং মর্গে পাঠায়।

এছাড়াও, সোমবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান ওরফে খুইল্লা (৬০) শৈবাল পয়েন্টে মাছ ধরতে গিয়ে স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন। পরে তাকে নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

একইদিন দুপুর ১টার দিকে হিমছড়ি সৈকতের লাল কাঁকড়া পয়েন্টে আরও এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনা সম্পর্কে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন এক পর্যটক বাবা ও ছেলে। সকল মরদেহই কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনদের উপস্থিতিতে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *