
জামায়াতে ইসলামী জানাচ্ছে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম, যা বাংলাদেশের জনগণও স্বীকৃতি দেবে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ। তিনি বললেন, কোনো রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিকে মানুক বা না মানুক, বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন এই পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ তা মেনে নেবে।
শনিবার নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও জানান, পিআর পদ্ধতি জামায়াতে ইসলামী নতুন করে চাইছে না। সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমও নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দুটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং অন্যটি হলো পিআর পদ্ধতি। যেমন পূর্বের নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তেমনি এবারও সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তিত হবে। বর্তমানে বিশ্বের ৯১টি দেশে এই পদ্ধতি কার্যকর।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাব এবং মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। প্রতিটি ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে—রাষ্ট্রপতির ভোটের মতোই একজন রিকশাওয়ালার ভোটেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে মানসম্পন্ন ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ গঠন সম্ভব হবে।
লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য মির্জা আশেক এলাহী, জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু এবং সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার। প্রশিক্ষণে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন।