
একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে হত্যার পুরো দৃশ্য; পুলিশ জানাল, পূর্বশত্রুতার জেরে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি কোপায় সাংবাদিক তুহিনকে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা।
নিহত সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) ছিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তুহিন থাকতেন গাজীপুর মহানগরীর চৌরাস্তা এলাকায়। পূর্বশত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তাঁকে ধারালো অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। তবে দুর্বৃত্তরা দোকানের ভিতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দোকানে বসে ছিলাম, হঠাৎ তুহিন দৌড়ে এসে ঢুকে পড়ে। পরে তিনজন ভিতরে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। বাইরে আরও দুজন রামদা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক লোক তখন দেখছিল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।’
সাংবাদিক তুহিনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, তিনি রাত আটটার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য, গাজীপুর চৌরাস্তা।’ এর দুই ঘণ্টা আগে তিনি জয়দেবপুর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘জয়দেবপুরে যাঁরা যাতায়াত করেন, এই রাস্তাটুকু আপনাদের চেনা। ড্রেন সংস্কার না করায় এত সুন্দর রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জনগণের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. রবিউল হাসান বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। একজন সাংবাদিককে এমন নির্মমভাবে হত্যা খুবই দুঃখজনক।’
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।