
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
শিবির এবং গোপন হামলাকারীদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ছাত্রদলের ধৈর্যকে পরীক্ষা করার চেষ্টা না করাই ভালো। যদি সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে কেউ আর স্বস্তিতে থাকতে পারবে না।
বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ স্বাগত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে গতকাল ডিএমপি কমিশনার যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা সেই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি দাবি করেন, হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে, কিন্তু আমরা স্পষ্ট তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই। সাম্যের পরিবারও সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান করছি। সাম্যের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদলের আন্দোলন চলবে।
রাকিব বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের দুই ভাইকে হারানোর পরও থেমে নেই হামলাকারীরা। তিতুমীর কলেজে গুপ্ত সংগঠনের ৮-১০ জন সদস্য প্রিন্সিপালের কক্ষে তালা লাগিয়ে হামলা চালিয়েছে। একইভাবে কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও বাম ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলার খবর আমরা পেয়েছি। এসব হামলা পরিকল্পিত ও সহিংস রাজনীতির অংশ।
তিনি আরও বলেন, যদি এসব ঘটনার বিচার না হয়, শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ না হয়, গুম-খুনের শিকার ছাত্রদল কর্মীদের ন্যায়বিচার না মেলে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা হয়, তবে এই নির্দলীয় ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা—খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।