
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতদের এই হামলার কারণে সংবাদ সম্মেলনটি বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অন্তত দুই নারী নেত্রীসহ চারজনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২ জুন) সকালে বাউফলের আন্দোলন নেতা শুভ চন্দ্রশীল এমন অভিযোগ করেন।
সূত্রে জানা যায়, রোববার বাউফল উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আন্দোলনের সমন্বয়কারী সিয়াম আহমেদ। তবে সম্মেলন শুরুর আগে ইউএনও অফিসের পিয়ন শ্যামল চন্দ্র প্রধান প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে সম্মেলন শুরু হলে কয়েকজন অচেনা যুবক সেখানে হানা দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন ও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর ওই যুবকরা আবার এসে লিখিত বক্তব্য ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই ইউএনওর নিরাপত্তায় থাকা আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ জন আনসার সদস্য এবং সমানসংখ্যক গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা আন্দোলনকারীদের গেটের বাইরে চলে যেতে বলেন। এ সময় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা আন্দোলনকারী শাহনাজ, আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, সিয়াম আহমেদ ও শুভ চন্দ্রশীলকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ নিয়ে শুভ চন্দ্রশীল বলেন, “সম্প্রতি ইউএনও একজন সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তার অপসারণ দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করছিলাম। কিন্তু ইউএনওর প্ররোচনায় বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে আমাদের সম্মেলন বানচাল করে দেয়।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, আমি কিছুই জানি না। ঠিক আছে।”
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, “আমি এ বিষয়ে অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”