জনাব তারেক রহমান, আ. লীগের দায় যেমন শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়, তেমনি যুবদল খুনের দায়ও আপনার ঘাড়ে বর্তায়- সারজিস আলম।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম। বলেন, বাংলাদেশে দলের খুনের দায় নেতাকেই নিতে হয়, সেটা হাসিনা-তারেক যেই হোন।

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলেছেন, “আপনার দলের নেতাকর্মী নামধারী নরপিশাচদের সামলান।”

শুক্রবার (১১ জুলাই) তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “সবাই খারাপ কিন্তু উনি ভালো—এই নাটক বাংলাদেশে আর চলবে না। আপনার দলের নেতাকর্মী নামধারী কতিপয় নরপিশাচকে সামলান, জনাব তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের খুনের দায় যেমন শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়, তেমনি বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের করা খুনের দায়ও আপনার ঘাড়ে বর্তায়।”

তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করেন যে, রাজনৈতিক নেতারা শুধু সুবিধা নেবেন না—নেতাকর্মীদের অপরাধের দায়ও তাদেরই নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে রাস্তার মাঝখানে উলঙ্গ করে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মরদেহ ঘিরে যুবদলের কর্মীরা উল্লাস করছিলেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা বাংলাদেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিন্দার ঝড় ওঠে অনলাইনে।

এই নৃশংস ঘটনাকে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’র যুগের সঙ্গে তুলনা করে সারজিস লিখেন, “মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশে একজন ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা এবং তার লাশ ঘিরে বুনো উল্লাস—এই দৃশ্য কল্পনাও করা যায় না। এই ঘটনা বাংলাদেশের মানুষকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।”

জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও লেখেন, “এই জন্য তো বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বিপ্লব করে নাই। আগের দিনের বাংলাদেশ আর নেই, জনাব। এই প্রজন্ম হয়তো কিছুটা ছাড় দিতে পারে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেবে না—না খুনিকে, না বর্বরতাকে।”

একই ঘটনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও নিজের ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, “প্রস্তর যুগে স্বাগতম। কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না, ধন্যবাদ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *