
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পুনর্বহালের রায়কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষত প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডন’ এক বিস্তারিত বিশ্লেষণে এই রায়কে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় পরিবর্তনের বার্তা হিসেবে দেখেছে।
১ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালের হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে দেয়, যার মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের নতুন রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশন দলটির বিষয়ে নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ পায়। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরপরই ডনসহ পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা হারানোর পর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করে দলটি, এবং সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়। সেই সঙ্গে প্রতিবেদনে এটিও উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৭ মে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেওয়া যুদ্ধাপরাধের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে আদালত। ২০১৪ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জামায়াতে ইসলামীর পুনরায় রাজনৈতিক মঞ্চে ফিরে আসা বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। ডনের ভাষ্য অনুযায়ী, এই দলটি অতীতে বঙ্গবন্ধুর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল এবং তাদের পাকিস্তানপন্থি অবস্থান এখনও বাংলাদেশে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার আমলে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আওয়ামী লীগকেও সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার প্রথম শুনানি ১ জুন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
এই সব তথ্য তুলে ধরে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক মেরুকরণ নতুন মাত্রা পাচ্ছে, যার প্রভাব আঞ্চলিক রাজনীতিতেও পড়তে পারে।