
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের পৈতৃক বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী। তিনি ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়েছেন—এই সময়ের মধ্যে মামলা গ্রহণ না করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় ওসিকে নিতে হবে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৯টার দিকে। জি এম কাদের রংপুরে এসে নগরীর সেনপাড়ায় নিজের বাসভবন ‘স্কাই ভিউ’-তে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বহিষ্কৃত কিছু ছাত্র নেতার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র, কাটা রাইফেল ও ককটেল নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে জানালার কাচ ভেঙে দেয় এবং কাদেরের অবস্থানকক্ষ লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পিত হামলার সময় বাসার সামনে থাকা মোটরসাইকেলেও গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আরিফ আলী জানান, ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টায় তিনি ও অন্যান্য জাতীয় পার্টি নেতা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু ওসি আতাউর রহমান দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে মামলা না নেওয়ার অজুহাত দেখান এবং আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার ভাষায়, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যেমন রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ কাজ করতো, এখনো তেমনটাই চলছে।”
আরিফ অভিযোগে আরও বলেন, হামলায় জড়িতদের তালিকায় ২২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা নাহিদ হাসান খন্দকারের নাম রয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট জানান, যদি মামলা রেকর্ড না হয়, তাহলে দলীয়ভাবে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। রাত পৌনে ১২টার দিকে আবার থানায় গেলে ওসি অভিযোগটি গ্রহণ করেন এবং বলেন, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।”
এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকাই এখন সবার প্রত্যাশা।