
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
গমঅন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের অভ্যুত্থানকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনআকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করছে। তবে সরকারের মৌলিক নীতি, সংস্কার প্রচেষ্টা, বিচার কার্যক্রম ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মতো কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হলে এবং দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে, সরকার জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
শনিবার (২৪ মে) উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠক শেষে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা মিলিত হন। সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সংস্কার কার্যক্রম ও বিচার ব্যবস্থার ওপর সরকারের দায়িত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জানানো হয়, সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনে একাধিকবার বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য ও এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া এবং চিরতরে স্বৈরাচারী শাসনের পথ রোধ করতে উপদেষ্টা পরিষদ বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত শুনবে এবং এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সরকার গোষ্ঠীগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যদি পরাজিত গোষ্ঠীর চক্রান্ত ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের কাজকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তাহলে সব বিষয় জনসমক্ষে উত্থাপন করে সরকার তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।