কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নে শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও তরুণদের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
মাসুম বিন ইদ্রিস কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের আয়োজনে এক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেল চারটায় ওজারখলা মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ শুরু হয়ে সন্ধ্যায় সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দাউদকান্দি উপজেলা যুব বিভাগের সহ-সভাপতি ও মারুকা ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন তালুকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলাম মনোনীত কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মনিরুজ্জামান বাহলুল।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মাওলানা মোশাররফ হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, উপজেলা জামায়াত যুব বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান আরিফ, মারুকা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আলী আযম মিয়াজী এবং ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মো. নাসির উদ্দীন।
মারুকা ইউনিয়ন যুব বিভাগের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হলো যুব সমাজ। নৈতিক মূল্যবোধ ও আদর্শে গড়ে ওঠা তরুণরাই জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম। কিন্তু মাদক, বেকারত্ব এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে আজকের প্রজন্মকে বিপথগামী করার চেষ্টা চলছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ইসলামি জীবনব্যবস্থার আলোকে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান অতিথি মনিরুজ্জামান বাহলুল তার বক্তব্যে বলেন, “যুব সমাজই জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তরুণ প্রজন্মকে আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং আলোকিত সমাজ গঠনে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। ইসলামের সোনালী ইতিহাসে যেমন তরুণরা পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক ছিলেন, আজও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এছাড়া তারা জোর দিয়ে বলেন, আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে পিআর ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং শেখ হাসিনার বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।