নিউ ঢাকা টাইমস :ডেক্স রিপোর্ট
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (৩ মে) আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়— কোনোভাবেই কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করা যাবে না।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলমান, তাই ইসলামবিরোধী কোনো সংস্কার বা নীতি জনগণ মেনে নেবে না। নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, যেভাবে সাবেক সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করেছিল, একই ভুল করলে ইউনূস সরকারের জন্যও পরিণতি সুখকর হবে না।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী। শুরুতে বক্তব্য দেন শাপলা শহীদ মাওলানা ইউনুছ মোল্লার পিতা। বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের নামে এমন কিছু প্রস্তাব আনছে যা ইসলাম বিরোধী। বক্তাদের মতে, কমিশনের সদস্যদের পরিচিতি স্পষ্ট না হলেও তাদের সুপারিশগুলো কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী।
তারা দাবি করেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, নইলে ইসলামপ্রিয় জনতা জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবে। হেফাজত নেতারা বলেন, প্রয়োজনে তারা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মামলাগুলো প্রত্যাহার করলেও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী সরকারের সময় দায়ের করা মামলা এখনও বহাল রয়েছে। এসব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে সংঘটিত ‘গণহত্যা’র তদন্ত ও বিচার দাবিও তোলা হয়। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন— অন্যান্য ঘটনায় কমিশন গঠন হলেও শাপলা চত্বরের ঘটনার ব্যাপারে সরকার নীরব কেন?
ফিলিস্তিন এবং ভারতের মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে বাংলাদেশের সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় মহাসমাবেশ থেকে।
হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যে এবার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনকে ঘিরে অসন্তোষই সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়েছে।