
ঢাকা টাইমস | ডেক্স রিপোর্ট
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সংস্কার করতে পারে না। শুধুমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই এ কাজের অধিকার রাখে।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই বর্তমান সরকার প্রধান ও তার নিয়োগপ্রাপ্তরা ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে আসুক। জনগণ যদি গ্রহণ করে, আমরাও গ্রহণ করব। তবে এই মুহূর্তে কোনো অবাস্তব সংস্কার নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, কর্মসূচিতে বাধা, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং নির্যাতন চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “আর অন্যায় সহ্য করা হবে না। কোনো ফ্যাসিবাদী রাজনীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
ড. ইউনুস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র হলেও তার মাধ্যমে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। যাদের সংস্কারের প্রস্তাব আছে, তারা টেবিলে রেখে যান, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তা বিবেচনা করবে।”
জিএম কাদের আরও বলেন, “সরকারপ্রধানের ওপর আমাদের আস্থা নেই। তার নেতৃত্বে গঠিত নতুন দলটি পুরনো ধাঁচের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে—চাঁদাবাজি, শো-ডাউন, বাহুবলের রাজনীতি। এটা সংস্কার নয়, এটা ফাঁকা প্রচার।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যারা রাজনীতি করতে চায়, তারা যেন পদত্যাগ করে জনগণের রায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্নে টিভি বন্ধ করে দেওয়ার কালচারকেও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বেকারত্ব বাড়ছে, কলকারখানা বন্ধ, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। বিনিয়োগ বন্ধ, রপ্তানি কমছে—এই সরকার দেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারসহ জাতীয় শ্রমিক পার্টির নেতারা। সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক পার্টির সভাপতি মেফতাহ উদ্দিন জসিম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শান্ত।