
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ এলাকায় দুই রাত ধরে সংঘটিত হয়েছে সহিংস হামলার ঘটনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা অলি মাতবর এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাওন ও শাহজালাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই হামলার পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ।
স্থানীয়দের বর্ণনায় জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল অলির বাড়িতে হঠাৎ হামলা চালায়। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে হামলাকারীরা অলির বন্ধু শাওন ও শাহজালালের বাড়িও লক্ষ্যবস্তু করে।
অলি মাতবরের ভাই খলিল মাতবর অভিযোগ করেন, পুরনো বিরোধ থেকেই এই আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে এবং মাসুদ এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামলাকারীরা ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। বাড়ি ছাড়ার সময় তাদের এক আত্মীয় সুমনকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
শনিবার রাতে আবারও একই এলাকায় দ্বিতীয় দফা হামলা হয়। এলাকাবাসীর মতে, ওই রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জনের একটি দল, যাদের মধ্যে রনি, মামুন, মফিজ, রবিউল, বিদ্যুৎ, শামীম, আকাশ, সবুজ, শাকিব ও শুভ ছিলেন, পুনরায় সহিংসতায় লিপ্ত হয়।
তবে মাসুদুর রহমান মাসুদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র।
ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান জানিয়েছেন, হামলার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার রাতে খলিল মাতবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।