
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
টানা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২১ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে — রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত করাচি শহর বারবার কেঁপে উঠেছে। রিখটার স্কেলে এসব ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ২.১ থেকে ৩.৬ এর মধ্যে। একটানা এতবার মৃদু ভূমিকম্পের ফলে বড় ধরনের কম্পনের শঙ্কা করছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মাহর সাহেবজাদ খান জানিয়েছেন, আগামী দুই-তিন দিন এমন মৃদু কম্পন চলতেই থাকবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে যতক্ষণ না কম্পনের মাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। তবে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের মালি এলাকাই ছিল সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত অঞ্চল, যেখানে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩.৬। কম্পনের ধাক্কায় মালি সংশোধনাগারের একটি প্রাচীর ধসে পড়ে এবং সেই সুযোগে ২১৬ জন বন্দি পালিয়ে যায় বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এদিকে, দেশটির বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় ধরনের ভূমিকম্প আসছে—এমন আলোচনা শুরু হয়েছে। এক ভূতত্ত্ববিদ দাবি করেন, করাচিতে কম্পন শুরু হওয়ার অনেক আগেই তিনি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন এবং তিনি সতর্ক করেছিলেন যে শুক্রবার ও শনিবার রাতে বড় ধরনের কম্পন ঘটতে পারে।
আর্থকোয়েক নিউজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী শাহবাজ লাঘারি বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, একাধিক ছোট কম্পনের উপস্থিতি অনেক সময় বড় কম্পনের পূর্বাভাস হতে পারে। করাচির জন্য এই সপ্তাহের শুক্রবার এবং শনিবার রাত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”
তিনি সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন যেন দ্রুত জনগণের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা প্রকাশ করা হয়। লাঘারি জানান, করাচির কোরাঙ্গি এবং মালি এলাকায় ছোট ছোট ফল্ট লাইন সক্রিয় রয়েছে, যার কারণে এসব এলাকা প্রায়শই মৃদু কম্পনে কাঁপে।
তবে করাচির প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার লাঘারি বলছেন, ঐতিহাসিকভাবে সক্রিয় একটি ফল্ট লাইন থেকেই এই কম্পনগুলো হচ্ছে এবং তাঁর ধারণা, এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব কম্পনের মাত্রা কমে যাবে।