
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই হামলা পরিচালিত হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এই হামলার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন।
বুধবার (৭ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে মিশ্রি বলেন, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অবকাঠামোতে ভারত হামলা চালিয়েছে, কারণ ইসলামাবাদ সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি জানান, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সংঘটিত হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়, যা এই হামলার মূল প্রেক্ষাপট।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, পেহেলগামের ঘটনায় ‘দ্য রেসিট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন দায় স্বীকার করেছে, যার সঙ্গে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বার যোগসূত্র রয়েছে। এই তথ্য থেকেই পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য ও ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সীমানা থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে দেশটি এখন সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের মে ও নভেম্বরে জাতিসংঘের ১২৬৭ স্যাংশন কমিটির মনিটরিং টিমকে রেসিট্যান্স ফ্রন্ট সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়, এটি পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। এমনকি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত জাতিসংঘকে জানায়, লস্কর ও জইশ-ই-মোহাম্মদ সংগঠনটি ব্যবহার করছে।
২০২৫ সালের ২৫ এপ্রিল, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে রেসিট্যান্স ফ্রন্ট বন্ধে পাকিস্তানের প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
মিশ্রি আরও বলেন, হামলার পর তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা ছিল স্পষ্ট। রেসিট্যান্স ফ্রন্টের দায় স্বীকার ও লস্কর-ই-তৈয়বার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
তিনি বলেন, পেহেলগামের মতো হামলার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানো। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, এসব গোষ্ঠী আরও হামলার পরিকল্পনা করছিল, তাই দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
ভারতের দাবি অনুযায়ী, তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল্লাহ মুজাহিদীনের অবকাঠামোয় এই হামলা চালায়।