
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা সামনে আসার পরই জরুরি বৈঠকে বসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দলটির সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্য নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে লিখিত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করবে বিএনপি।
শুক্রবার (০৬ মে) রাত ১২টার দিকে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে দলটি।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে জরুরি বৈঠক শুরু হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরাও যুক্ত ছিলেন এবং বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে।
এদিকে নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচন যদি দেরিতেও হতো, ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে হলে সেটি গ্রহণযোগ্য মনে হতো। তবে বিষয়টি নিয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ৫০টির বেশি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে যে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত, তাই আমরা যুক্তির ভিত্তিতে বারবার তা তুলে ধরেছি। কিন্তু এমন একটি সময়ে নির্বাচন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যেটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ ওই সময়ে দেশে পাবলিক পরীক্ষা চলে, আবহাওয়া অনুকূল থাকে না এবং জানা মতে আগামী বছরের ১৬, ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারির দিকেই রমজান শুরু হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, এপ্রিলের প্রথম দিকে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তফসিল ঘোষণার পর যে ৪৫ দিনের সময়সীমা থাকে, তার বড় অংশই রমজানের মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে নির্বাচন নিয়ে প্রচার ও ক্যাম্পেইন করতে হবে রোজার মধ্যেই। এটি সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত একটি চিন্তা।