পারমাণবিক কমিটির বৈঠকের গুজব, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
শনিবার একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে যে পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটির সভা ডেকেছে। তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই দাবিকে অস্বীকার করে বলেন, ভারতের সামরিক অভিযানের পরও কোনো ধরনের বৈঠকের সময় নির্ধারণ হয়নি।

খাজা আসিফ এআরওয়াই টেলিভিশনকে জানান, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) কোনো বৈঠক হয়নি এবং এ সংক্রান্ত কোনো নির্ধারিত সময়সূচিও ছিল না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত যে বিকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তা বাস্তবেই রয়েছে, তবে এই বিষয়ে কথা বলাকে তিনি অনুচিত মনে করেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শনিবার ভোরে ভারত যখন পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালায়, তখন এনসিএর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই কমিটির সভা ডেকেছেন। তবে দেশটির তথ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “আমরা বিষয়টিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে না দেখে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, উত্তেজনা কমে আসবে এবং বিষয়টি সেখানে পৌঁছাবে না।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার স্থানীয় একটি চ্যানেলকে বলেন, “যদি ভারত থামে, তাহলে আমরাও থামার কথা ভাবব।”

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। তিনি দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান।

রুবিও জানান, আসিম মুনিরের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। একইভাবে, এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও একই আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত এই হামলার জন্য শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। হামলায় জড়িত দুই সন্ত্রাসীর সঙ্গে পাকিস্তানি সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার দাবি করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতের দিকে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় পাকিস্তান ও পাক-শাসিত কাশ্মীরে। জবাবে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করে শুক্রবার রাত থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *