
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেনের গ্রামের বাড়িতে সংঘটিত হয়েছে মধ্যরাতের এক চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা। তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত। তবে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাটিকে ডাকাতি হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এটিকে ‘চুরি’ বলে উল্লেখ করছে।
ভুক্তভোগী এসআই মুরাদ হোসেন, গোপালগঞ্জ থানায় কর্মরত এবং তিনি আলফাডাঙ্গার নাজিম উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তার মা মমতাজ বেগম জানান, শনিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে দোতলা বাড়ির নিচতলার জানালার থাই গ্লাস ভেঙে এবং গ্রিল কেটে দুজন মুখোশধারী ঘরে প্রবেশ করে। তারা তাকে ও পুত্রবধূকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে। পরে পুত্রবধূর কানে থাকা পাঁচ আনা ওজনের সোনার দুল (মূল্য প্রায় ৫৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সময় বাড়ির বাইরে আরও ১০-১২ জন অবস্থান করছিল, যারা পাহারার দায়িত্বে ছিল।
এসআই মুরাদ হোসেন বলেন, “পুরো ঘটনার সময় ডাকাতদল আমাদের অস্ত্রের মুখে রেখেছিল। এটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ পুলিশ এই ঘটনায় ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমি সঠিক বিচার চাই।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি ডাকাতির মতো মনে হয়নি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, চুরি ও ডাকাতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে—পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাকে ডাকাতি বলা হয়। এ ঘটনায় মূল ঘরে প্রবেশ করেছে মাত্র দুইজন, যাদের কাছে উল্লেখযোগ্য কোনো অস্ত্রও ছিল না এবং ঘরের ভেতরে কোনো ভাঙচুরও হয়নি।
এসআই সুজন আরও বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তারা এটিকে চুরি হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী ভুক্তভোগীদের চুরির অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র :jagonews24-com