
নিউ ঢাকা টাইমস: ডেক্স রিপোর্ট।
বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে পাঁচজন পলাতক নেতার প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)-এর শ্রমিক শাখা। এদের মধ্যে শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারাও রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এনসিপির নেতারা মিছিলসহকারে ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেন। তারা দাবি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মনোনয়ন বাতিল করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ার জন্য আজ শনিবার পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আপত্তিপত্র দেন। সেখানে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রকে সামনে রেখে কোনোভাবে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’কে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার দেশত্যাগে যদি সংবিধানের প্রয়োজন না পড়ে, তবে তাঁর সহযোগীদের প্রতিরোধ করতেও গঠনতন্ত্রের অজুহাত চলবে না।
আবদুল্লাহ আল সানীর মতে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের গণআন্দোলনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক থাকা ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া শহিদদের প্রতি অবমাননাকর। তিনি বলেন, “গণ অধিকার পরিষদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরও মনোনয়ন বাতিল হয়নি, যা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।”
বাতিল চাওয়া প্রার্থীরা হলেন:
শামসুদ্দিন শেখ হেলাল – সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী, বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক
ইব্রাহীম শেখ – সহসভাপতি পদে প্রার্থী, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি
আবদুল গফুর প্রামাণিক – সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী, জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি
জালাল উদ্দিন – প্রচার সম্পাদক পদে প্রার্থী, বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক
আনোয়ার হোসেন – কার্যকরী সভাপতি পদে প্রার্থী, শ্রমিক লীগ নেতা
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বগুড়া আদালতের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ জানান, শুধুমাত্র পলাতক আসামি হওয়া কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য যথেষ্ট নয়। বিষয়টি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিচার হবে। তবে তিনি জানান, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর জাল হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনিবার নিজে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে, অনুপস্থিত থাকলে মনোনয়ন বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২৩ মে বগুড়া জিলা স্কুলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩তম ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৩০টি পদে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৭২ জন।