
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
মৌসুমি ফল বিতরণ শেষে ফেরার সময় মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন নেতার ওপর বাংলাদেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায়, যা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট উত্তরপাড়ার সীমান্তবর্তী অংশে। সময় ছিল মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত।
হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক আশিকুর রহমান হৃদয়, যুগ্ম-সদস্য সচিব আশিকুর তামিম আশিক, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিথিলা ফারজানা নীলা, কিরণ আক্তারসহ আরও একজন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনার পর মিজান পরিবহনের সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
আহত কিরণ আক্তার জানান, “মেয়েদের ওপর এমনভাবে হামলা হবে তা কল্পনাও করিনি। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার কারণেই আমাদের টার্গেট করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অখিল সরকার বলেন, “পাঁচজন শিক্ষার্থী মারামারির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। এদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
সংগঠনের মাদারীপুর জেলা সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, “এই হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। হামলাকারীদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত করা গেছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং ঘটনার বিচার দাবি করছি।”
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, “এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”