
সামাজিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক হতাশায় দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন কুঁড়েঘরের ভোকাল তাসরিফ খান
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশের সংগীতজগতের জনপ্রিয় তরুণ কণ্ঠশিল্পী তাসরিফ খান কেবল গানেই সীমাবদ্ধ নন—সমাজসেবার ক্ষেত্রেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তার ব্যান্ড কুঁড়েঘর এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি দেশের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা কিংবা বৈষম্যের সময় পাশে থেকেছেন মানুষের।
তবে এবার এক ভিন্ন বার্তা দিয়েছেন তিনি। একটি টিভি সাক্ষাৎকারে তাসরিফ জানান, তিনি দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন। সামাজিক বৈষম্য, নিরাপত্তাহীনতা এবং মানসিক চাপের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দেশের জন্য সারাজীবনই কিছু করতে চাই। কিন্তু দেশে থাকার মতো অবস্থান এখন আর থাকছে না। ছোটবেলা থেকেই বিদেশ ভালো লাগত না, কিন্তু এখন যা দেখছি, তা সহ্য হয় না।”
তাসরিফ বলেন, “আমার ইচ্ছা করে হয়তো আমি আর দেশে থাকব না। হয়তো দুই-তিন বছরের মধ্যে দেশের বাইরে চলে যেতে পারি। দেশের জন্য বড় কিছু করতেই হবে, তেমন নয়—আমি ছোট হয়েও কিছু করতে চাই।”
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির হানাহানি, বিশৃঙ্খলা এবং সামাজিক বৈষম্য তাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এজন্যই দেশত্যাগের কথা ভাবছেন ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ খ্যাত এই গায়ক।
তাসরিফের গাওয়া ‘মধ্যবিত্ত…’ গান দিয়েই তার সংগীতজীবনের উত্থান শুরু হয়। এরপর ‘তুমি মানে আমি’, ‘ময়না রে’, ‘তাই তো আইলাম সাগরে’, ‘ব্যাচেলর’ এবং ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও তাসরিফ ছিলেন এক সক্রিয় কণ্ঠ। গানের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এজন্যে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, বিশেষত সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের দ্বারা।
তাসরিফের এমন সিদ্ধান্তে ভক্তরা বেশ বিস্মিত। তারা চান, তিনি দেশেই থেকে তার গান ও মানবিক কাজ চালিয়ে যাক।
অন্যান্য পত্রিকার উল্লেখ হেডলাইন এবং তথ্য সুত্র।
– বাংলানিউজ২৪: “দেশ ছাড়ার চিন্তায় কুঁড়েঘরের তাসরিফ”
– সমকাল: “সামাজিক বৈষম্যে ক্ষুব্ধ, দেশ ছাড়তে চান গায়ক তাসরিফ”
– বাংলাদেশ জার্নাল: “দেশে থাকতে মন চায় না, বললেন তাসরিফ খান”
– ইন্ডিপেন্ডেন্ট: “তাসরিফ considering leaving Bangladesh over injustice”
– বিডিনিউজ২৪: “রাজনৈতিক নোংরামিতে হতাশ, দেশ ছাড়তে চান তাসরিফ”