
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেছে ফোরামের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ নজর কেড়েছে চীন ও ইরানের অবস্থান—যাদের পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থান ইসলামাবাদের উপর বাড়তি কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
ওম বিড়লা জানিয়েছেন, “সন্ত্রাস মোকাবেলায় গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময়, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি।”
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহযোগিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২০২৬ সালে ভারতেই অনুষ্ঠিত হবে ১২তম ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। সেই অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওম বিড়লা।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে এক মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারান। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে টার্গেট করে হত্যা চালায় হামলাকারীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শতাধিক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। এর ফলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
ভারতের দাবি, এই হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও অস্ত্র চীনে নির্মিত। এজন্য চীনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে পরোক্ষভাবে সহায়তার অভিযোগ তোলে দিল্লি। যদিও ব্রিকস ফোরামে চীন ভারতের পাশে থাকার যে বার্তা দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মহলে চীন-পাক সম্পর্কের নতুন দিক তুলে ধরেছে।