
বাংলাদেশের মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর বিচার চাওয়া নয়, বরং বিএনপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনাকে গুপ্ত সংগঠনের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় বিচার না চেয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া ছাত্রদের গুপ্ত সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ছাত্রদলের আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “মিটফোর্ডের ঘটনার বিচার না করে বুয়েটের যেসব ছাত্র বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল, তারা মূলত একটি গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মী।”
এই সময় তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ‘মুনাফিক সংগঠন’ বলেও উল্লেখ করেন।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যার ঠিক আগে, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে এবং মাথায় পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
পরদিন শুক্রবার এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের নেতা রজ্জব আলী পিন্টু ও সাবাহ করীম লাকিকে আজীবন বহিষ্কার করে সংগঠনটি।
শুক্রবার রাতেই একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী কালুকেও আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্মরণ সভায় রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, “মুনাফিক সংগঠন ছাত্রশিবির শহীদদের স্মরণে আজও কোনো কর্মসূচি দেয়নি। যারা সংগ্রামের গল্প বলে বেড়ায়, তাদের নামে কোনো মামলা নেই, কোনো জিডিও নেই। অথচ আমাদের নামে রয়েছে হাজার হাজার মামলা। আমরা জেলে গিয়েছি, সেখানে বিশ্রাম নিয়েছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, তখন ছাত্রদলের ১৭৬ জন নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।”
রাকিবুল ইসলাম বলেন, “তারেক রহমান ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জুলাই আন্দোলনের সময়। তার নির্দেশেই ছাত্রদল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নামে। ১৭ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণার দিনেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় ছিল।”