
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশের পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এক মুয়াজ্জিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মসজিদের এই মুয়াজ্জিন মেয়ের সম্মতি না থাকায় বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানান, আর ঠিক এই কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত মুয়াজ্জিনের নাম গনি মোল্লা (৪৬), আর অভিযুক্ত যুবক শাহাদাত হোসেন (২৫)।
এই নৃশংস ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (৯ জুন) রাত ১২টার দিকে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার চন্ডিপুর সিকেবি আলিম মাদরাসায়। আহত অবস্থায় গনি মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত গনি মোল্লা মাদরাসাটির নৈশপ্রহরী এবং স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা এবং বুদ্ধ হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শাহাদাত নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে বরিশাল থেকে এক তরুণীকে ভাঙ্গুড়ায় নিয়ে আসেন বিয়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মেয়েটি পরবর্তীতে বুঝতে পারেন, শাহাদাত মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন এবং তিনি একজন মাদকাসক্ত যুবক।
যদিও শাহাদাত দাবি করেন, তারা ইতোমধ্যে কাজী অফিসে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন, মেয়েটি বিয়েতে অসম্মতি জানান। এরপর তিনি ধর্মীয় নিয়মে বিয়ে সম্পন্ন করতে গনি মোল্লাকে চাপ দেন। গনি মোল্লা মেয়ের অনিচ্ছার কথা শুনে বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানালে, শাহাদাত ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন এবং কক্ষে আটকে রেখে পালিয়ে যান।
আহত গনি মোল্লা নিজেই ফোনে খবর দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসি শফিকুল ইসলাম আরও জানান, শাহাদাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ না আসলেও তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।