
নিরাপত্তা পরিষদে দুই পক্ষের অভিযুক্ত, ইরান সতর্ক—‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সামিল হয়, তবে আমেরিকান ঘাঁটিতে প্রতিশোধ চালাতে দ্বিধা করব না’।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “যদি আমেরিকা ইজরায়েলের সঙ্গে সামরিক অভিযানে যুক্ত হয়, তবে পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে আমরা কোনো কচকচ করব না।” শুক্রবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তীব্র অবস্থান নিয়েছে তেহরান ও তেল আভিভ। উভয় পক্ষই যুদ্ধ অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
শনিবার ইউরোপ সফরে NBC নিউজকে সাক্ষাৎকারে আব্ছাস আরাঘচি বিশ্লেষণ করেন যে, আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালে, তারা মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাতে “দ্বিধাহীন” হবে। তিনি বলেন, “আত্মরক্ষা প্রতিটি দেশের মৌলিক অধিকার।”
নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি জানান, “ইজরায়েল আমাদের উপর একতরফা হামলা চালিয়েছে, তাই আমরা পাল্টা আঘাত করেছি। তারা বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে।” তিনি গাজার হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
ইজরায়েলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন বলেন, “ইরান এখন ভুক্তভোগীর ভঙ্গিতে মুখোশ পরেছে। তারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে জনগণকে উপেক্ষা করছে।” তিনি যুক্তি দেন, 국제 জনমতকে উপেক্ষা করে ইরান পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি বিঘ্নিত করছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুধাবনে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিম এশিয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘাঁটিগুলো থেকে বিমান ও রণতরী সরাতে শুরু করেছে। কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইরান যদি এসব ঘাঁটিতে হামলা চালায়, তবে ব্যাপক যুদ্ধ অনিবার্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে দুই রাষ্ট্রের পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ সংকটের আবহ সৃষ্টি করেছে।
অন্য পত্রিকার হেডলাইন
নিচে প্রকৃত সূত্র থেকে সংগ্রহ করা পত্রিকার শিরোনাম তুলে ধরা হলো:
Reuters: Iran will respond firmly if US becomes directly involved in Israeli strikes, says UN ambassador
Reuters: Iran strikes Israeli hospital; Trump to decide on US role in conflict within ‘two weeks’
Reuters: At UN, Iran accuses US of being complicit in Israeli strikes
Reuters: UN’s Guterres urges ‘give peace a chance’ in Israel-Iran conflict
Reuters: Iran says no to nuclear talks during conflict as UN urges restraint