যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে একাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়েছে অর্থ উপদেষ্টার পক্ষ থেকে। এতে করে বেশ কিছু দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মোবাইল ফোন:
দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন খাতে মূসক (ভ্যাট) অব্যাহতির সুবিধা কিছুটা কমিয়ে তা আবারো সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে, এই খাতে আগের মতো ভর্তুকি না থাকায় মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।

ওয়াশিং মেশিন ও রান্নাঘরের সরঞ্জাম:
ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার এবং প্রেসার কুকার উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আংশিকভাবে কমানো হয়েছে। এর ফলে এসব ইলেকট্রিক পণ্যের বাজারমূল্য বেড়ে যেতে পারে।

প্লাস্টিকের গৃহস্থালি পণ্য:
থালাবাসনসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের তৈজসপত্রে ভ্যাটের হার দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ক্ষেত্রে এ ছাড় বজায় থাকবে।

এলপিজি সিলিন্ডার:
স্থানীয় পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আংশিকভাবে কমানো হয়েছে এবং সেইসঙ্গে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দামও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদেশি চকলেট:
বিদেশ থেকে আনা চকলেটের শুল্কায়ন মূল্য ৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বাড়তি শুল্কের কারণে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত তা ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

লিপস্টিক ও প্রসাধনী পণ্য:
ঠোঁট, চোখ এবং মুখমণ্ডলে ব্যবহৃত প্রসাধনী পণ্যের আমদানিতে শুল্কায়ন মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। ফলে এসব রূপচর্চার সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।

ব্লেড:
দাঁড়ি কাটার ব্লেড উৎপাদনে ভ্যাট ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ব্লেডের দাম বাড়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য দৈনন্দিন খরচ কিছুটা বেড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *