যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা

মাহিগঞ্জে তিন বছর আগে বিয়ে, নির্যাতনের শিকার ছিলেন রেজোয়ানা; পাঁচজনের নামে মামলা, তিনজন গ্রেপ্তার

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

রংপুর, বাংলাদেশ: যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম রেজোয়ানা দিল আফরোজ (২২)। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামীকে আসামি করে মাহিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে স্বামী, ননদ ও ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, রেজোয়ানার বিয়ে হয় প্রায় তিন বছর আগে সরেয়ারতল এলাকার রেজাউল করিমের সঙ্গে। বিয়ের সময় বরপক্ষকে ৫ লাখ টাকার উপহার দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন রেজোয়ানা।

গত ৫ জুন তাকে মারধর করে যৌতুকের জন্য চাপে ফেলা হয়। এর তিন দিন পর, ৮ জুন বিকেল ৩টার দিকে রেজোয়ানার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে।

তীব্র দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রেজোয়ানার দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

রেজোয়ানার বাবা অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তার জামাই মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি দরজা বন্ধ করে আগুন নেভাতে না গিয়ে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে।

এ বিষয়ে ওসি আব্দুল কুদ্দুস জানান, “হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

অন্যান্য পত্রিকার উল্লেখ হেডলাইন এবং তথ্যসূত্র:
– প্রথম আলো: “যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ”
– যুগান্তর: “রংপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩”
– বাংলাদেশ প্রতিদিন: “কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা: মামলা দায়ের”
– সমকাল: “রংপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার”
– ঢাকা পোস্ট: “যৌতুকের দাবিতে আগুনে পুড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *