ঢাকার আজিমপুরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশের রাজনৈতিক বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা চলছে; ডিএমপি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পুলিশের এক কর্মকর্তার রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেন এমন বক্তব্য দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিএমপির প্রসিকিউশন অনুযায়ী একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি ঘটে গত ৪ জুলাই। রাজধানীর আজিমপুরে সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় জামায়াতে ইসলামীর এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ আলম। সেখানে জামায়াতের ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাজী এনায়েত উল্লাহর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
এই সভায় পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় বক্তব্য রাখেন লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) শাহ আলম। তিনি বলেন, “আগের ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো দেশ বিক্রি করে দিয়েছে—এটা আপনারা সবাই জানেন, পত্রিকাতেও পড়েছেন। এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশের জন্য কাজ করার। আপনারা এলাকায় কাজ করবেন, কর্মীর সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা পুলিশ, আমাদের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশপ্রেমিক জনগণের সঙ্গে আমরা কাজ করবো। এখন আমাদের একটা সুযোগ আসছে ভোট বিপ্লবের। ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচিত করতে পারি, আমরা সেটা চাই।”
বক্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক মঞ্চে গিয়ে এমন বক্তব্য দিতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বা বক্তব্য দিতে পারেন না। পুলিশ কর্মকর্তার এই বক্তব্য প্রশাসনিক নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্য পত্রিকার হেডলাইন:
- [বাংলা ট্রিবিউন] জামায়াতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল, ডিএমপির তদন্ত
- [সমকাল] জামায়াতের অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, তদন্তে ডিএমপি
- [প্রথম আলো] জামায়াতের অনুষ্ঠানে পুলিশের বক্তব্য ভাইরাল, তদন্তের নির্দেশ