
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
লালমনিরহাটে আগুনে পুড়ে ছয়জন নিহত হওয়ার ১০ মাস পর অবশেষে এই মর্মান্তিক ঘটনার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ছয়জনকে। সোমবার রাতে নিহতদের সহযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেওয়া আরমান আরিফ নামের এক তরুণ সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনসহ মোট ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরনবী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন হলেন—পূর্ব থানা পাড়ার বাসিন্দা ও পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান ওরফে ভুট্টু (৪৮), রিফিউজি কলোনির বাসিন্দা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম খান ওরফে বকুল (৫৬), বসুন্ধরা এলাকার শরীফ মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৫০), কাজীর চওড়া গ্রামের বাবুল (৩৫), ওয়ারলেস কলোনির দোয়েল (৩৬), এবং রিফিউজি কলোনির জুয়েল মিয়া (৩৯)।
মঙ্গলবার শরীফ মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, জাহিদ হাসান ও বাবুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাদল কুমার মণ্ডল। বাকি তিনজনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাখাওয়াত হোসেন সুমনের মালিকানাধীন একটি বহুতল বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন তরুণ পুড়ে মারা যান, যারা মামলার বাদী দাবি অনুযায়ী ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নিহতরা হলেন: জোবায়ের হোসেন (১৭), আল শাহরিয়ার রিয়াদ ওরফে তন্ময় (১৯), শাহরিয়ার আল আফরোজ ওরফে শ্রাবণ (১৮), জনি মিয়া (২০), রাধিক হোসেন ওরফে রুশো (১৯) এবং রাজিব উল করিম সরকার (১৮)।
আরমান আরিফ বলেন, “আমাদের সহযোদ্ধাদের আগুনে পুড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতদিনেও কোনো বিচার না পেয়ে আমি নিজেই মামলাটি করেছি।”