
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশকেই সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যা মূলত সামরিক পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। যদিও তিনি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলেও, প্রতিবেশী পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি।
কাশ্মীরে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। ভারতীয় বাহিনী সন্ত্রাসী সন্দেহে ধরপাকড় চালাচ্ছে। এদিকে ভারত ইন্দাস পানিচুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানকে পানি সরবরাহ বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সিমলা চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এখনো ভারত কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ প্রকাশ করেনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত হয়তো আরও তথ্য সংগ্রহ করছে অথবা চাপমুক্ত অবস্থায় পদক্ষেপ নিতে চায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি ২০১৯ সালের মতো ভয়াবহ মোড় নিতে পারে, যখন কাশ্মীরে বড় হামলার পর ভারত পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছিল। তখনও উভয় দেশ সামরিক উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েছিল। এবারও পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুই দেশের উত্তপ্ত অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ— যুদ্ধ এড়াতে দ্রুত ও কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া।