
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এখনও খাদ্য মূল্যস্ফীতির লাল তালিকায় রয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে এই অবস্থান অপরিবর্তিত। ১০ থেকে ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ১৪টি দেশ — যেমন ভারত, কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা ও রাশিয়া — লাল শ্রেণিতে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক খাদ্য মূল্যস্ফীতির মাত্রা অনুযায়ী দেশগুলোকে চারটি ভাগে রেখেছে: বেগুনি (৩০% বা তার বেশি), লাল (৫%-৩০%), হলুদ (২%-৫%) এবং সবুজ (২% এর নিচে)। ১৭২টি দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অর্থাৎ বেগুনি শ্রেণিতে নেই, তবে লাল তালিকায় স্থায়ীভাবে রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা কমলেও, সরবরাহ সংকট ও আবহাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ভুট্টার দাম ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তবে চালের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সবচেয়ে ভালো অবস্থা সবুজ তালিকায় থাকা আটটি দেশের — যার মধ্যে আছে সুইজারল্যান্ড, চীন ও সৌদি আরব। অন্যদিকে মালাওয়ি, আর্জেন্টিনা, মিয়ানমারসহ ছয়টি দেশ এখনও খাদ্য মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে খারাপ শ্রেণি বেগুনিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যদিও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তা কিছুটা কমেছে, তবুও চাপ রয়ে গেছে।