
নিউ ঢাকা টাইমস :ডেক্স রিপোর্ট
শনিবার (১০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সদর থানা পুলিশ নেহাল নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে থানায় নিয়ে যায়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানিয়েছেন, ‘নেহালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি, তবে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।’
ঘটনার শুরু হয় সন্ধ্যার দিকে, যখন ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পল্টুনে নামার সময় স্থানীয় কিছু মানুষ তাদের মাদকাসক্ত সন্দেহ করে অনুসরণ করতে থাকে। এসময় তারা পুনরায় লঞ্চে উঠতে চাইলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক বাধা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় জনতা লঞ্চে উঠে ভাঙচুর, লুটপাট ও যাত্রীদের মারধর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল নদীতে হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং লঞ্চটিকে নিরাপদে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রী এবং স্টাফরা জানিয়েছেন হামলাকারীরা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আটককৃত যুবক নেহাল আহমেদ জিহাদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনি ঘাট এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।