
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড। সরকারি এক উচ্চপদস্থ প্রকৌশলীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কর্মকর্তারা এমন দৃশ্যের মুখোমুখি হয়েছেন, যা দেখে তারা হতবাক! জানালা দিয়ে একের পর এক ৫০০ টাকার বান্ডিল ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছিল নিচে। পথচারীরা ছুটে আসছেন, নিচে হুলুস্থুল পরিস্থিতি, আর উপরে তদন্ত কর্মকর্তাদের মাথায় হাত।
ঘটনার মূল চরিত্র বৈকুণ্ঠনাথ সারাঙ্গি, যিনি ওড়িশা রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে ওড়িশা ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট সাতটি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায়—ভুবনেশ্বর, অঙ্গুল, পিপলি সহ আরও কয়েকটি স্থান।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ভুবনেশ্বরের বাড়িতে। তল্লাশি দলের উপস্থিতি টের পেয়েই সারাঙ্গি আচমকা জানালা দিয়ে টাকা ছুঁড়ে ফেলা শুরু করেন। ততক্ষণে ঘরের ভিতরে টাকার বান্ডিল থরে থরে সাজানো অবস্থায় ছিল। এ যেন ‘টাকার বৃষ্টি’! তবে শেষ রক্ষা হয়নি—বাড়ির বাইরে ছড়ানো সেই টাকাও পরে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত দুই কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। অঙ্গুলের বাড়ি থেকে ১.১ কোটি এবং ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাট থেকে ১ কোটি রুপি নগদ পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, পুরো অর্থটিই অবৈধ। ঘটনাস্থলে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, ২৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা মিলে টাকা গুণতে ব্যস্ত রয়েছেন।
সারাঙ্গিকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভিজিল্যান্স বিভাগ, যেখানে দেখা যায় টাকার পাহাড়—গোছানো বান্ডিল সারি সারি পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে।