
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে।
বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে আয়োজিত এক বক্তৃতা শেষে স্থানীয় সাংবাদিক সামিয়া আক্তারের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “তখনকার পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়েছিল যে, সরকার কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। এমনকি পুলিশ পর্যন্ত রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছিল। আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কীভাবে সামাল দেব।”
যখন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সেই বাসভবনে ভাঙচুরের সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি সামনে আনা হয়, ড. ইউনূস সরাসরি কিছু না বললেও স্বীকার করেন যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তার ভাষায়, “একযোগে বহু সমস্যা সামনে চলে এসেছিল। সেই সময় সবকিছু একসাথে সামাল দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।”
তিনি আরও বলেন, “ওই সময় পুলিশ জনগণের কাছে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। মানুষ প্রশ্ন তুলছিল—‘তোমরা আমার ভাই বা ছেলেকে গুলি করেছ, এখন আবার কীভাবে আমাকে নিরাপত্তা দেবে?’ পুলিশ যখন রাস্তায় নামতো, তখনই জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তো।”
ড. ইউনূস আরও জানান, “আমাদের যেই পুলিশ বাহিনী ছিল, তারা কিছুদিন আগেও শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে—এমন অবস্থায় তাদের নিয়ে কিছু করা কঠিন ছিল।”
তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সৌভাগ্যবশত, সময় আমাদের পক্ষেই গেছে। মানুষ ধীরে ধীরে পুলিশের ওপর আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে এখন আবার শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, আর সেটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।”
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়, যা বাংলাদেশজুড়ে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।