
বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে জামায়াত নেতা ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে, তারাই এখন দেশপ্রেমিকদের দেশ ছাড়ার কথা বলে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, ‘‘একটা গোষ্ঠী আমাদের দেশ ছাড়তে বলে। অথচ যারা নিজেরাই মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে, তারাই এখন অন্যদের দেশ ছাড়ার কথা বলছে। যারা বলে জামায়াত-শিবির রাজাকার, তাদের এখনই বাংলা ছাড়া উচিত। বাংলা কি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি?’’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদ এবং ১৯ জুলাই ঢাকায় জামায়াত ঘোষিত মহাসমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নোয়াখালী জেলা জামায়াত।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শহর জামায়াত আমির মাওলানা ইউছুপ, ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতারা।
বিক্ষোভ শেষে মাইজদীর বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে অংশগ্রহণকারীরা।
ইসহাক খন্দকার বলেন, ‘‘আমরা ফাঁসি দেখেছি, ক্রসফায়ারে গেছি, আয়নাঘরে থেকেছি, তবুও দেশ ছাড়িনি। আমরা এই দেশকে ভালোবাসি। এই দেশেই গুলি খাব, এই দেশেই মরব, এই দেশেই ফাঁসির মঞ্চে যাব, কিন্তু কখনো দেশ ছেড়ে যাব না ইনশাআল্লাহ। যারা ভারতের দালালি করে, তাদেরই এই দেশ ছাড়তে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে, তা সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদে পরিচালিত হয়েছে। প্রশাসনের নীরবতা ও নির্লিপ্ততা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। ফ্যাসিবাদী আচরণ যদি চলতেই থাকে, তাহলে সারা বাংলাজুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’’
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘‘গত এক বছরে কেন জুলাই সনদ প্রকাশ করা হয়নি? এর পেছনে কারা দায়ী? যারা জুলাই বিপ্লবকে বিশ্বাস করে না, তাদের এই বাংলার মাটিতে কোনো ঠাঁই হবে না।’’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘‘আওয়ামী লীগ তো হেলিকপ্টারে চলে গেছে। কিন্তু তারা হেলিকপ্টারেও পাবে না। তাদের কারণেই ফ্যাসিবাদীরা আজ এত সাহস পেয়েছে।’’